নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরিভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মাল্টিসেক্টর’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী আনা হয়েছে। এই প্রকল্পটিরও ব্যয় ও সময়ও বেড়েছে। ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ থেকে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ব্যয় বাড়ল ৯৩০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খরচে জরুরিভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মাল্টিসেক্টর প্রকল্পসহ চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ এবং বিদেশি অনুদান ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক সভায় অংশ নেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার তথ্যমতে, আজকের একনেকে তিনটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প। সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়েছে। সময় একই রয়েছে। সংশোধনীতে ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ থেকে খরচ বেড়ে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
২০১৮ সালের জানয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচ ও সময় বাড়ছে। ২৮০ কোটি ৩০ লাখ থেকে খরচ বেড়ে প্রথম সংশোধনীতে হয় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ এবং মঙ্গলবার সংশোধনের পর আরও বেড়ে দাঁড়াল ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মে মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে নারীদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচন (ফেজ-২) নামে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। এতে খরচ করা হবে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
একনেক সভায় আরও অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।